- আট কুঠুরি নয় দরজা” একটি গানের কথায় বাস্তবতা কতটুকু তা একটু যাচাই করে দেখি।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কথা ও সুরঃ লালন শাহ
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়
আমি ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়
আট কুঠরীর ওই দরজাটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়
“আট কুঠুরি নয় দরজা” বলতে কী বোঝায়?
আট কুঠুরি নয় দরজা মানে কিন্তু এখানে আটটি ঘর আর নয়টি দরজাকে বুঝানো হয় নি। এখানে আট কুঠুরি মানুষের শরীরের আটটা ক্যাভিটি বা ভেসেল। মাথার খুলি, ডান-বাম দুই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী, দুই কিডনি আর কোলন। আর নয় দরজা মানুষের শরীরের নয়টা এনট্রান্স বা এক্সিট – দুই চোখ, দুই নাকের ফুটো, মুখ, দুই কানের ফুটো, আর বাকি দুইটা জননাঙ্গ ও পায়ু।
মানুষের মোট গ্রন্থি আটটি। পিটুইটারি, থাইমাস, থাইরয়েড, প্যরা থাইরয়েড প্রভৃতি। এই শরীরটা বেঁচে আছে এই আটটি গ্রন্থির ভেতর দিয়ে হর্মোন সিক্রিয়েশন করার জন্য। আর এই আটটি গ্রন্থির সাথে যুক্ত শরীরের নয়টি দ্বার। আর তিনতলা হলো শরীরের মস্তিষ্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ এবং নিম্নভাগ। চোখ, মুখ, নাক, কান প্রভৃতি নয়টা দ্বার নিয়ে ছড়িয়ে আছে যা স্নায়ুশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।