- সাবেক সামরিক কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানসহ দুজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।মামলায় অপর আসামির নাম উল্লেখ না থাকলেও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার জানান, বুধবার দুপুর ৩টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সম্প্রতি ফেসবুকে নেত্র নিউজের একটি ভিডিও নজরে আসে। ভিডিওটি মিথ্যা, মানহানিকর ও আক্রমণাত্মক।’
‘ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী। সেখানে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে,’ অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের পক্ষের মানুষের অনুভূতিতে মিথ্যা এই অপপ্রচার আঘাত করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি।
কে এই তাসনিম খলিল?তিনি নির্বাসিত বাংলাদেশী সাংবাদিক যিনি সুইডেন ভিত্তিক অনুসন্ধানী ও জনস্বার্থ বিষয়ক ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক। এর আগে ডেইলি স্টারের হয়ে কাজ করেছিলেন এবং সিএনএন-এর একজন স্ট্রিংগার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরামর্শদাতা ছিলেন।
২০০৬-২০০৮ বাংলাদেশ জরুরি অবস্থার সময় ১১ মে ২০০৭ এ তাকে আটক করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা-ডিজিএফআই হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতন করা হয়েছিল।
খলিল বর্তমানে সুইডেনের আরেব্রোতে বসবাস করছেন, যেখানে তিনি মানবাধিকার ইস্যুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা একটি বিশ্ব সংবাদ পত্রিকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের প্রকাশক এবং সম্পাদক ছিলেন।
হাসিনুর রহমান একজন প্রাক্তন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন অফিসার। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার সময় তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে জোরপূর্বক নিখোঁজের শিকার হয়েছিলেন (আগস্ট ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত) এবং ১৬মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
রংপুরে মামলায় দুজনেই মামলার আসামী। তারা দুজন পৃথক পৃথক সময়ে জোরপূর্বক নিখোঁজের শিকার হয়েছিল।