মারাত্মক ধীরগতি এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ; কচ্ছপ গতিকেও হার মানালো!
আবদুল্লাহ মজুমদার
দেড়মাস এরও বেশি সময় ধরে এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড কচ্ছপ গতিও নয় প্রতিবন্ধির মতো কাজ করছে! এনবিআর এর সফটওয়্যার আধুনিকরণ ও পদ্মাসেতুর লগো সংযুক্তকরণের কাজ করতে গিয়ে এনবিআর -এর এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড এর সার্ভার এতো বেশি ধীরগতির হতে গেছে যা কচ্ছপ গতিকেও হার মানিয়েছে। ডকুমেন্টস প্রসেসিং নোটিং ও এ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে ধীরগতির কারণে ওটিপি সমস্যা ও বারবার সার্ভার ডিস্কানেক্টেড হয়ে যাওয়াসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এনবিআর এর এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভার সিস্টেম এর কারণে কাস্টম হাউজে কাজের প্রচন্ড ধীরগতি হয়ে পড়েছে। একটি ডকুমেন্টস নোটিং করতে গিয়ে তিন-বার ওটিপির প্রয়োজন হচ্ছে। কখনও কখনও দশ-বারও ওটিপি-র প্রয়োজন হচ্ছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সময় ও শ্রম।
ধীরগতির কারণে যেমন সিএন্ডএফ এজেন্ট কাস্টমস সরকারেরা পড়েছে বিব্রতকর অবস্থায় তেমনি এনবিআর কর্মকর্তাদেরও কাজ করতে গিয়ে বেহাল দশা,,,। পদ্মাসেতুর লগো সংযোজন করতে গিয়ে সার্ভারের করুণ হালের জন্য দায়ি কে?
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সার্ভার ডেভলপ-এর নামে এনবিআর এর সফটওয়্যার হযবরল পরিস্থিতি কারোরই কাম্য নয়। রাজস্ব পরিশোধ করতে গিয়ে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের দীর্ঘশ্বাস এর দায় কে বহন করবে??
কেনই বা প্রয়োজন ছিল এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ডে পদ্মাসেতুর লগো সংযোজন করার? দুইদিন পর বঙ্গবন্ধুর ছবি সংযোজন করার প্রয়োজনীতা দেখা দিবে!! তখন কী হবে? তখন আবারও লগো পরিবর্তন করতে হবে। আবারও কোটি কোটি টাকা খরছ ও লুটপাটের ব্যবস্থা হবে। এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে পদ্মাসেতুর লগো না বসিয়ে একেবারে বঙ্গবন্ধুর ছবি লগোতে বসিয়ে দিলে অন্তত আগামীতে সফটওয়্যার এর পেছনে ব্যয় করা থেকে বেঁচে যেত জনগণের ঘামের টাকা!!