মানবাধিকার কর্মীদের করণীয় ও মানবাধিকার সংগঠন-এর কাজ কী এসব বিষয়ে অবগত নয় বেশিরভাগ মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন, যার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও কমছে না, কমছে না পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক বৈষম্য।মানবাধিকার কর্মীদেরকে যথাযথ ট্রেনিং এর পাশাপাশি করণীয় ও কাজ করার কলাকৌশল জানিয়ে দেওয়ার ওপর সেমিনার এর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে পারলেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমে আসবে, ১০ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটায় ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস্ বাংলাদেশ টিএইচআরবি’র লালখান বাজারস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব টিএইচআর র চেয়ারম্যান মাসুদা বিলকিস কথা বলেন।
- ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস্ বাংলাদেশ টিএইচআরবি’র এ আলোচনা সভায় মানবাধিকার কর্মীদের করণীয় ও মানবাধিকার সংগঠনের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়াও নারী নির্যাতন, খুন,গুম, হেফাজতে নির্যাতন বন্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য মানবাধিকার কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের সচেতন নাগরিকরা। এ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব আবদুল্লাহ মজুমদারের পরিচালনায় এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কর্মী ওচমান জাহাঙ্গীর, নিউজগার্ডেন সম্পাদক কামরুল হুদা, বিশিষ্ট নজরুল শিল্পী ফরিদা করিম, সাংবাদিক সুমন বড়ুয়া,এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, সংগঠক মুসলিম সিকদার, সাংবাদিক নজিবুল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, এইচআরডি মীর বরকত হোসেন, সাংবাদিক পারভীন আকতার চৌধুরী, ইতিহাস গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ-দীন, সাংবাদিক আলমগীর রানা, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ হানিফ, জানে আলম, সংগঠক মোহাম্মদ হারুন, সংগঠক শাহজাহান সাজু, প্রিয়াঙ্কা মানবাধিকার কর্মী মফিজুল আনোয়ার আরফান, ফজলুল করিম মুনছুর প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, পারিবারিক সহিংসতা, নারী নির্যাতন, রাষ্ট্র কতৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন,অধিকার সম্পর্কিত কথা বলার স্বাধীনতা, আইসিটি এ্যাক্ট-এর ৫৭ ধারা ও বৈষম্য এবং নিজের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করার নাম ই মানবাধিকার রক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও। শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পালিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ খ্রিঃ ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ খ্রিঃ ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং মেহমানদারী ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয় মানবাধিকার কর্মীদের হাতে।