আবদুল্লাহ মজুমদার
সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর চট্টগ্রাম জোনাল সন্মেলন ১১ ডিসেম্বর রবিবার রেডিসন ব্লু চট্টগ্রামের মোহনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিমাই কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া তালুকদার।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বীমা গ্রাহকরা কোনভাবেই যেন ক্ষতি বা হয়রানির সম্মুখিন না হন, কোম্পানির ব্যবসা উন্নয়ন ও প্রিমিয়াম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যসহ সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন তিনি।”
সভাপতি ও বিশেষ অতিথি বলেন, “ফাস্ট ইয়ার প্রিমিয়াম কালেকশনের পাশাপাশি যেন সেকেন্ড ইয়ার রিনিউয়াল কালেকশন শতভাগ নিশ্চিত হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান।”
কোম্পানির পক্ষে মিজানুর রহমান ও ডিজিএম মৃদুল কান্তি মল্লিকের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় দুই পর্বের অনুষ্ঠানে সাজানো সম্মেলনে ট্টগ্রামের জিএমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৌতম কুমার চৌধুরী, মোঃ জাবেদ হোসাইন ও সরন কুমার ভট্টাচার্য। ডিজিএমদের মধ্যে সৈকত বড়ুয়া, পলাশ ধর, মুরারি মোহন দেবনাথ, মোহরা শাখার ডিজিএমসহ সর্বস্তরের সফল কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত সন্মেলনে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ কোম্পানির বর্ষ সমাপনী পরিকল্পনা কার্যক্রম সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। এতে তিন শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কোম্পানির সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান, অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিশেষ অতিথি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে সফলদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পদে অর্জিত পুরষ্কার প্রাপ্তদের প্রদান করেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা মহা ব্যবস্থাপকদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করায় পঞ্চাশ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি গ্রহণ করেন আগ্রাবাদ সার্ভিস পয়েন্টের মহাব্যবস্থাপক সরন কুমার ভট্টাচার্য।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন, জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো,কইলজার ভিতর গাঁথি লাইক্কুম তোঁয়ারে, মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা,. ও কালাচাঁন গলারমালা পেট পুরেদ্দে তোঁয়ারল্যাই” গানগুলো পরিবেশন করে দর্শকদের বিনোদনে মাতিয়ে রেখেছিলেন এবং
বিরতি দিয়ে ২য় ধাপে আবার মঞ্চে এসে
, তুমি ছুঁয়ে দিলে হায় আমার কি যে হয়ে যায়/ বুক চিনচিন করছে হায়/ মন তোমায় কাছে চায়
, সোনা বন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা/ মনে তো মানে না দিলে তো বুঝে না
,আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেলো গো মরার কোকিলে
,পাংখা পাংখা…
, দুটি মন আর নেই দু’জনায়/ রাত বলে আমি সাথী হবো যে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়/ চলার পথে ক্ষণিক দেখা,. তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে সুখের দোলা” গানগুলো পরিবেশন করেন টিভি ও বেতার শিল্পী অবন্তী বড়ুয়া। তোরে পুতুলের মতো করো সাজিয়ে হৃদয়ের কোটরে রাখবো,রুপালী গিটার ফেলে একদিন চলে যাবো দূরে,গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, রসিক আমার মন ভাঙ্গিয়া পিঞ্জর বানাইছে, সাদা সাদা কালা কালা রং জমেছে সাদাকালা/ হইছি আমি মন পাগলা/ তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কী? বসন্তকালে তোমায় বলতে পারিনি! তুই আমারে তুই আমারে কইরলি দিওয়ানা ওরে সাম্পান ওয়ালা। সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী /লাউয়ের আগা খাইলাম ডুগা খাইলাম/ লাউ দিয়ে বানাইলাম। নাতিন বড়ই খা বড়ই খা হাতে লইয়া নুনু/ কেইল ভাঙ্গিয়া পইরগি নাতিন বড়ই গাছুত্তুন।” গানগুলো পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ তারকা জনি বড়ুয়া।