গর্বিত চবিয়ান
মুহাম্মদ শওকত আলী
শওকত আলী নূর ১৯৬১ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম রাজনৈতিক বনেদী পরিবারে জন্ম । তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা, মাতা মরহুমা খানম মোস্তফা। ১৯৭৬ সালে উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুই বিষয়ে লেটার মার্কস সহ এসএসসি (বিজ্ঞান), ১৯৭৯ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি (বিজ্ঞান) পাশ করে ১৯৭৯-৮০ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ১ম স্থান- ১৯৮২, এম এ (২য় স্থান)-১৯৮৩ লাভ করে মেধার তালিকায় স্বাক্ষর রাখেন। এছাড়াও এনসিসি ব্যাংক কক্সবাজার শাখায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৯১ সালে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা দ্বিতীয় পর্বে ডিপ্লোমেইড এসোসিয়েট অব দ্যা ইন্সটিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (ডিএআইবিবি) থেকে ডিস্টিংশনসহ কৃতিত্বের সাথে সনদ লাভ করেন। ১৯৮৫-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়া নুরুল উলুম সিনিয়র ফাযিল মাদরাসায় সলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে দায়িত্ব পালন করেন (এর মধ্যে ১৩ বছর শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন)। ২০১০ সাল থেকে তিনি ব্রাদার্স অর্কিড লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাপন।
ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ও বাংলাদেশজাতীয়তাবাদী দলের ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার সাথে জড়িত ছিলেন। এসব গবেষণামূলক প্রবন্ধ, কলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশিত হয়।
১৯৭৬-১৯৭৯ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজে এইচএসসি অধ্যয়নকালীন থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন মুহাম্মদ শওকত আলী নূর। যেহেতু পিতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুরুচ্ছফা সাহের তৎকালীন জাগদল ও বিএনপি রাঙ্গুনিয়া থানা কমিটির অন্যতম সংগঠক ছিলেন, তাই ১৯৭৭ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আস্থা (হাঁ/না) গণভোট: ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জেনারেল জিয়াউর রহমান’র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবং ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকালীন সময়ে রাঙ্গুনিয়া কলেজের ছাত্রনেতা হিসেবে রাঙ্গুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
(১৯৭৯-১৯৮৫) সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অধ্যাপক ড. ইনাম উল হক এর প্রিয় ছাত্র হিসেবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তাঁর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। উল্লেখ্য অধ্যাপক ড. ইনাম উল হক সাহেব পরবর্তীতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হন।
শিক্ষা জীবন শেষে কর্মজীবনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোন অবস্থায়ই সমাজসেবা ও রাজনীতি বিমুখ ছিলেন না তিনি। ১৯৮৭ পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করে রাঙ্গুনিয়া বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং স্থানীয় থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থীর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।১/১১ এর সময় থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুঃসময়ে সাহসিকতার সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে জেলা-উপজেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম সভা- সমাবেশ ও মিছিলে নিয়মিত অংগ্রহণ করেন।২০০৯ সালে বিএনপি’র জাতীয় সম্মেলনের পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপিরসিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং ২০১৩ সাল থেকে আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ২০১৪ সালে তাকে রাঙ্গুনিয়া
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেন, যা ২০২২ পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করেন।২০১৪ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে কেন্দ্র ও জেলা ঘোষিত রাজপথের সকল সভা-সমাবেশ-মিছিলে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে নেতৃত্ব দেন এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঘোষিত নতুন কমিটি থেকে বর্তমান পর্যন্ত উত্তর জেলা আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সক্রিয় সদস্য হিসেবে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের গণবিরোধী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক অসত্য বানোয়াট ও গায়েবী মামলায় অনেক দিন কারানির্যাতন ভোগ করেন। বিএনপির নীতি-আদর্শের রাজনীতি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের দেশপ্রেমের প্রতি অবিচল আস্থাশীল হয়ে রাঙ্গুনিয়ায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ রেখে রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে সক্রিয় থাকায়, নানা প্রলোভনেও নিবৃত করতে না পেরে রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে নিত্য নতুন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে আসামি করে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৮ জুন বিএনপি কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাহাড় ধ্বসে ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণে রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় মারাত্মক আহত হন। এ হামলায় জড়িত অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় ক্যাডারদের বিরুদ্ধে মামলা না করে বিএনপির পরিচ্ছন্ন ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় তাঁকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।বৈশ্বিক করোনা মহামারী শুরু থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় নিজ ও সংগৃহীত ফান্ডে দলীয় নির্যাতিত নেতা কর্মী ও গরিব লোকজনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া বোয়ালখালী আংশিক) আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত তিন জনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ও ৩০ ধারা বাস্তবায়নে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশের শ্রেষ্ঠ শাখার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখার কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ সালে আজীবন সদস্য (১০/০০-০৪) হন এবং পদুয়া ইউনিয়ন শাখার উপদেষ্টা পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পদুয়া ইউনিয়ন শাখা মানবাধিকার ২০১৬-২০১৯ ও ২০১৯-২০২৩ কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।ব্যাংকিং ট্রেনিং, সেমিনার এবং ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি সৌদি আরব,চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ম্যাকাও ভ্রমণকরেন। ২০০১ সালে সস্ত্রীক হজ্জব্রত পালন করেন। চাকুরীকালীন সময় থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার সুবাধে এলাকার মেধাবী, গরীব অসহায় ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের মধ্যে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে এলাকায় হত দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপন, বনজ ও ফলদ গাছের ছারা বিতরণ, বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে মেডিক্যাল ক্যাম্প সহ নানাবিদ সেবাকার্যক্রম বাস্তবায়ন করে সাধারণ জনগণের কাছে নিবেদিত প্রাণ সমাজকর্মীর আস্থা অর্জন করেন তিনি। ২০০৪ সালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রাম পদুয়ায় তার পিতার নামে আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৯ সাল থেকে তার একক পৃষ্ঠপোষকতায় দাদার নামে পরিচালিত হয়ে আসছে ‘আলহাজ জেয়াবউদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি’। এ বৃত্তির মাধ্যমে এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ, উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খুরুশিয়া-দ্বারিকোপ উচ্চ বিদ্যালয় উত্তর পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা, জয় গুরুধাম (সুখবিলাস, পদুয়া, রাঙ্গুনিয়া) সহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দাতা। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচ (চবি ১৫তম) প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ (অ্যালামনাই), বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখা সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের জীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, উত্তর পদুয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডি, উত্তর পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদারাসা গভর্নিং বডির সদস্য; ২০০৭-২০০৮ সালে লায়ন্স কার ইন্টারন্যাশনাল বি-৪ এর লিও ক্লাব চেয়ারম্যান, উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র- ছাত্রী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।পিপলস হাসপাতাল ও ঈগল্স আই ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চট্টগ্রাম, রাঙ্গুনিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার সহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সংযুক্ত হয়ে আত্মসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করেছেন। আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকত আলী নূর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে অবদান রাখায় ২০২৩ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ কর্তৃক ‘শেরেপ্রাচীন বাংলার চট্টগ্রাম ও ইতিহাস ঐতিহ্য
বাংলা গোডেন এ্যাওয়ার্ড- ২০২৩-এ ভূষিত হন। আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্র- নাহিকায় শিল্প সাহিত্য, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও দেশ-বিদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে নিবন্ধ / প্রবন্ধ রচনা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় দুই বাংলার সংস্কৃতি পরিষদ (ভারত-বাংলাদেশ এর শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্র) তাকে গুণীজন সম্মাননা-২০২২ প্রদান করেন।
তার পিতা মরহুম আলহার মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা ১০নং পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি (জাগদল/বিএনপি প্রতিষ্ঠায় রাঙ্গুনিয়ার সজিনা ২/৩ জন নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম); প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১০নং পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপি। ১০ নং পদুয়া ইউনিয়নে তিনিই সর্বপ্রথম জমি দানসহ মেধা, শ্রম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৯৬৫ সালে উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৭০ সালে উত্তর পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির আজীবন দাতাও ছিলেন। ১৯৬৩ সালে রাঙ্গুনিয়ায় প্রথম কলেজ ‘রাঙ্গুনিয়া কলেজ’ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও অনেক সামাজিক সংগঠন, মসজিদ-মাদরাসায় জমি ও অনুদান প্রদান করেছেন। জনহিতকর কর্মে অবদানের জন্য তিনি ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখা কর্তৃক মানবাধিকার পুরস্কারে (সনদ ও সম্মাননা) ভূষিত হন তিনি। আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকত আলী নূর ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। তার স্ত্রী ফাতেমা জাহান এমএবিএড। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক কক্সবাজার এর প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ২০২১ সালে ইন্তেকালের পর ফাতেমা জাহান দৈনিক কক্সবাজার এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন। বড় ছেলে ডা. মুহাম্মদ তাহসীন নূর এমবিবিএস, এফসিপিএস (পার্ট- ১, সার্জারী), এইচএমও, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তার স্ত্রী ডা. মুনতারিনা বিনতে আলী এফসিপিএস (পার্ট-১, মেডিসিন)। ছোট ছেলে ডা. মুহাম্মদ তাশদীদ নূর এমবিবিএস, একমাত্র মেয়ে তাহিরা নূর কলেজ ছাত্রী।
বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২৩-এ ভূষিত হন। আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্র- পত্রিকায় শিল্প সাহিত্য, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও দেশ-বিদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে নিবন্ধ প্রবন্ধ রচনা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় দুই বাংলার সংস্কৃতি পরিষদ (ভারত-বাংলাদেশ এর শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্র) তাকে গুণীজন সম্মাননা-২০২২ প্রদান করেন ।তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা ১০নং পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি (জাগদল/বিএনপি প্রতিষ্ঠায় রাঙ্গুনিয়ার সক্রিয় ২/৩ জন নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনি অন্যতম); প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১০নং পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপি। ১০ নং পদুয়া ইউনিয়নে তিনিই সর্বপ্রথম জমি দানসহ মেধা, শ্রম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৯৬৫ সালে উত্তর পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৭০ সালে উত্তর পাদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির আজীবন দাতা ছিলেন। ১৯৬৩ সালে রাঙ্গুনিয়ায় প্রথম কলেজ ‘রাঙ্গুনিয়া কলেজ’ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও অনেক সামাজিক সংগঠন, মসজিদ-মাদরাসায় জমি ও অনুদান প্রদান করেছেন। জনহিতকর কর্মে অবদানের জন্য তিনি ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখা কর্তৃক মানবাধিকার পুরস্কারে (সনদ ও সম্মাননা) ভূষিত হন তিনি। আলহাজ মুহাম্মদ শওকত আলী নূর ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। তার স্ত্রী ফাতেমা জাহান এমএ, বিএড। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক কক্সবাজার এর প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ২০২১ সালে ইন্তেকালের পর ফাতেমা জাহান দৈনিক কক্সবাজার এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন। বড় ছেলে ডা. মুহাম্মদ তাহসীন নূর এমবিবিএস, এফসিপিএস (পার্ট- ১, সার্জারী), এইচএমও, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তার স্ত্রী ডা. মুনতারিনা বিনতে আলী এফসিপিএস (পার্ট-১, মেডিসিন)। ছোট ছেলে ডা. মুহাম্মদ তাশদীদ নূর এমবিবিএস, একমাত্র মেয়ে। তাহিরা নূর কলেজ ছাত্রী।