BTN
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • চট্টগ্রাম
  • অপরাধ
  • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিল্প সাহিত্য
    • গ্রামীণ সাহিত্য
  • ইতিহাস ঐতিহ্য
  • বিবিধ
    • শেকড় সন্ধানে
    • ছবিঘর
    • গ্রামীন জনপথ
    • কুঠির শিল্প
    • প্রেস বিজ্ঞপ্তি
    • লাইফস্টাইল
    • সংগঠন সংবাদ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • চট্টগ্রাম
  • অপরাধ
  • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিল্প সাহিত্য
    • গ্রামীণ সাহিত্য
  • ইতিহাস ঐতিহ্য
  • বিবিধ
    • শেকড় সন্ধানে
    • ছবিঘর
    • গ্রামীন জনপথ
    • কুঠির শিল্প
    • প্রেস বিজ্ঞপ্তি
    • লাইফস্টাইল
    • সংগঠন সংবাদ
No Result
View All Result
BTN
No Result
View All Result

মেয়ের হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে হারান চাকরি সাংবাদিক রুবেল খান

ডা. ফয়সাল ইকবাল এর চাপের মুখে

May 11, 2025
0
মেয়ের হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে হারান চাকরি সাংবাদিক রুবেল খান
0
SHARES
3
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

মেয়ের হত্যার বিচার
চাইতে গিয়ে হারান চাকরি সাংবাদিক রুবেল খান

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ২০১৮ সালের ২৯ জুন মধ্য রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করে দুই বছর চার মাস বয়সী সাংবাদিক কন্যা রাফিদা খান রাইফা। হাসপাতালটির চরম অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয় শিশু রাইফার। মেয়ের মেডিকেল মার্ডারের বিচার চাইতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চরম বৈষম্যের শিকার হন শোকাহত সাংবাদিক রুবেল খান। তৎকালীন আওয়ামীপন্থী বিএমএ নেতাদের রোষানলে পড়ে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট চাকরি চ্যুত করা হয়। চাকরি হারানোর পর থেকে চরম আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে এই ভিকটিম পরিবারটি।

জানা গেছে, রাইফার মেডিকেল মার্ডারের ঘটনায় থানায় যাতে কোনো মামলা নেয়া না হয়, সেজন্য ২০১৮ সালের ২৯ জুন গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় হাজির হয়ে তৎকালীন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামকে ধমকানো শুরু করেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের আপন খালাতো ভাই। ওই সময় ডা. ফয়সাল ইকবাল হুংকার দিয়ে বলেন, ‘আমি এক ঘন্টার মধ্যে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকের পর থেকে আমরা আর কোনো সাংবাদিকের সন্তানকে চিকিৎসা দেবো না।’ শেষ পর্যন্ত তার চাপের মুখে রাইফার মেডিকেল মার্ডারের ঘটনায় ওই রাতে আটক হওয়া ম্যাক্স হাসপাতালের ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও একজন নার্সকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

ডা. ফয়সাল ইকবাল এর চাপের মুখে রাইফার মেডিকেল মার্ডারের ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানা পুলিশ ওই রাতে মামলা নেয়নি। এমনকি রাইফার সুরৎহাল রিপোর্ট পর্যন্ত করেনি পুলিশ। এছাড়াও পুলিশ ময়না তদন্তেরও ব্যবস্থা করেনি। তবে ময়না তদন্তের পরিবর্তে চট্টগ্রামের তৎকালীন সিভিল সার্জন আব্দুল আজিজকে প্রধান করে একজন ডাক্তার প্রতিনিধি ও একজন সাংবাদিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তিনজন চিকিৎসকের অবহেলার প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। চকবাজার থানা পুলিশ শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২০ জুলাই চারজন চিকিৎসককে আসামী করে রাইফার বাবার করা মামলাটি গ্রহণ করে। নগরীর চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত, ডা. শুভ্র দেব ও ম্যাক্স হাসাপাতালের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খানকে আসামী করা হয়।

মামলা হওয়ার পর থেকেই বাদি রুবেল খানকে মামলাটি তুলে নিয়ে সমঝোতা করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে জামাই ডা. সেলিম ও আওয়ামীপন্থী বিএমএ’র নেতারা।
এছাড়াও রাইফার বাবা রুবেল খানকে বেশি ঝামেলা না করে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার হুমকি দেয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক রফিকুল বাহার।

এরপরও সাংবাদিক রুবেল খান মামলা তুলে না নেয়ায় নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় আসামী পক্ষের লোকজন। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাদি রুবেল খানকে সমকাল পত্রিকা থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। রাইফার মামলাটির তদন্ত দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর আটকে রাখা হয়। অনেকেই মনে করছিলেন, রাইফার মামলার তদন্তটিও মনে হয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যা মামলার মতোই ফাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোর মুখ দেখবে না।

অবশেষে গতবছরের ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় রাইফার মামলার চার আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের তৎকালীন পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। এরপর ১২ মে চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার দেয়া রাইফার মামলার চার্জশীট আমলে নেন। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন চট্টগ্রামের প্রথম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। দন্ডবিধির ৩০৪ (এ) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং ১০৯ ধারায় অবহেলার প্ররোচনার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এখন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

রাইফার শোকাহত বাবা সাংবাদিক রুবেল খান বলেন. ‘সামান্য গলা ব্যাথা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শিশু রাইফাকে। কিন্তু ওই হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই রাইফাকে ভুল চিকিৎসা দেয়া হয় এবং চিকিৎসায় সীমাহীন অবহেলা করা হয়। আমি বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা আমার শিশু কন্যাকে রফিসিন নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক পুশ করেন। আমার আপত্তির মুখে চিকিৎসকরা বলেন, এই অ্যান্টিবায়োটিক পুশ করা হলে আপনার মেয়ের কোনো ক্ষতি হবে না বরং ওর গলা ব্যাথা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। অথচ ওই অ্যান্টিবায়োটিক পুশ করার পর আমার মেয়ের শরীরের অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যেতে থাকে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, ওভারডোজ অ্যান্টিবায়োটিক পুশ করায় আমার মেয়ের রিঅ্যাকশন হয়েছিল। ওই রিঅ্যাকশনের কারণে তার শ্বাস কষ্ট ও খিঁচুনি হয়। খিঁচুনির কারণে আমার মেয়ের যখন মুমূর্ষু অবস্থা, তখন আবারও ভুল চিকিৎসার শিকার হয় সে। তাকে এনআইসিইউতে না নিয়ে কেবিনের ভেতর ওভারডোজ সেডিল পুশ করা হয়। এভাবে বারবার অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করে আমার একমাত্র শিশু কন্যা রাইফা। এই মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে শিশু রাইফার চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত কমিটি ওই ম্যাক্স হাসপাতালের ১১টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।’

চিকিৎসায় অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু প্রতিরোধ এবং দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের স্বার্থে রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান রাইফার বাবা রুবেল খান। তিনি অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকদেরকে বাঁচানোর জন্য এখনও নানামুখী অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা এখন টাকার জোরে সবকিছু নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে রাইফার শোকাহত মা রুমানা খানম বলেন, ‘চিকিৎকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মাত্র দুই বছর চার মাস বয়সেই অকালে মৃত্যু বরণ করে রাইফা। ওর বড় কোনো অসুখ ছিল না। প্রাণঘাতি অসুখ না হওয়ার পরও চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছে সে। যাদের কারণে আমার কোল খালি হয়েছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

Previous Post

“পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ উদ্যোগ অবহিতকরণ” বিষয়ক কর্মশালা আয়োজিত

Next Post

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সাক্ষাৎ

Related Posts

টিএইচআরবির মানবাধিকার দিবস পালন
মানবধিকার বিষয়ক

টিএইচআরবির মানবাধিকার দিবস পালন

মানবাধিকার রক্ষায় আজীবন কাজ করে যাবো- টিএইচআরবি’র চেয়ারম্যান মাসুদা বিলকিস
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মানবাধিকার রক্ষায় আজীবন কাজ করে যাবো- টিএইচআরবি’র চেয়ারম্যান মাসুদা বিলকিস

Next Post
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সাক্ষাৎ

ফেসবুক

Facebook Twitter

প্রকাশক
মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন
সম্পাদক
ওচমান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
নির্বাহী সম্পাদক
আবদুল্লাহ মজুমদার
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
ছৈয়দ মো. মোক্তার উদ্দিন
নিউজ ইনচার্জ
মীর বরকত হোসেন


সম্পাদকীয় কার্যালয়
৪০ মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড়, চট্টগ্রাম

বার্তা বিভাগ
মোবাইল:01819170384
ইমেল:[email protected]

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • চট্টগ্রাম
  • অপরাধ
  • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিল্প সাহিত্য
    • গ্রামীণ সাহিত্য
  • ইতিহাস ঐতিহ্য
  • বিবিধ
    • শেকড় সন্ধানে
    • ছবিঘর
    • গ্রামীন জনপথ
    • কুঠির শিল্প
    • প্রেস বিজ্ঞপ্তি
    • লাইফস্টাইল
    • সংগঠন সংবাদ