আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় বসেছে ২২৪টি কোরবানির পশুর হাট। এর মধ্যে নগর এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে বসেছে ১৩টি হাট। বাকি ২১৫টি হাট বিভিন্ন উপজেলায়।
আজ সোমবার বিকেে নগরের কর্ণফুলী গরুর হাটে (নূর নগর হাউজিং সোসাইটি মাঠ) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাট উদ্বোধন করেন চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘কোরবানির হাট শুধু পশু বেচাকেনার জায়গা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। হাটগুলো যেন স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও নাগরিকবান্ধব পরিবেশে পরিচালিত হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
চসিকের তথ্যমতে, নগরীর ১৩টি হাটের মধ্যে স্থায়ী তিনটি হাট সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড়ে। বাকি ১০টি অস্থায়ী হাট বসেছে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এর মধ্যে রয়েছে—নূর নগর হাউজিং এস্টেট মাঠ, সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, সিডিএ বালুর মাঠ, মুনিরনগর রিংরোডসংলগ্ন খালি জায়গা, গলাচিপাপাড়া মাঠ, আলমগীর সাহেবের মাঠ, চেয়ারম্যান মাঠ, বড়পোল খালপাড়, সল্টগোলা রেলক্রসিং মাঠ এবং রেজাউল আমিন মাঠ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, পশুর হাট পর্যবেক্ষণে গঠন করা হয়েছে ৬৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। এসব টিম হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা প্রদান ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি হাটের সার্বিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর সংকট হবে না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু এসেছে। ঘাটতি থাকলে বগুড়া, কুষ্টিয়া, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারীদের মাধ্যমে তা পূরণ হবে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত দাম, চাঁদাবাজি বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় হাটের সংখ্যা: হাটহাজারী: ২৩টি মিরসরাই, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া: ২০টি করে সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা: ১৫টি করে সাতকানিয়া: ১৮টি চন্দনাইশ: ১৩টি বোয়ালখালী: ১১টি পটিয়া: ১০টি বাঁশখালী: ১২টি লোহাগাড়া: ৭টি কর্ণফুলী: ২টি।