বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা এরশাদ উল্লাহর দাবি, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় ও গণভিত্তিক দল হওয়ায় তাদেরকে নির্বাচন প্রসঙ্গে বললেই বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
নির্বাচন বনাম বিচার প্রসঙ্গ: তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে জনগণ কতদিন অপেক্ষা করবে? তাঁর মতে, একটি অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা দেশ পরিচালনা গণতান্ত্রিক নয়।
রাজনৈতিক সংস্কার ও ছাত্রহত্যা প্রসঙ্গ: তিনি আরও বলেন, নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার – এই তিনটি বিষয় আলাদা, এবং একটির ওপর অন্যটি নির্ভরশীল নয়।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ:
এরশাদ উল্লাহ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মূলত বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যার একটি প্রচেষ্টা।
বিচার ও নির্বাচন—এ দুটি বিষয় আলাদা প্রশাসনিক প্রক্রিয়া হলেও বাস্তবে তারা পরস্পরের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ও নৈতিকভাবে জড়িত।
তবে তাঁর বক্তব্য ছিল, বিচার প্রক্রিয়াকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে যদি নির্বাচন আটকে রাখা হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক নীতির পরিপন্থী।
এই বক্তব্য সরকারের প্রতি একটি পরোক্ষ চাপ ও সমালোচনার প্রকাশ, যার মাধ্যমে বিএনপি আগাম নির্বাচনের দাবিকে জোরালো করতে চায়।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই স্মৃতি হলে মহানগর বিএনপি ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। জরুরি প্রয়োজনে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা থাকায় পরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি তিনি।
**চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহানগর শাখার সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, সাংবাদিক ওসমান গণি মনছুর, এসএম সাইফুল আলম, সাংবাদিক মুস্তফা নঈম, প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী প্রমুখ।