মুহাম্মদ শওকত আলী নূর ১৯৬১ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যাংকার, সমাজসেবক, গবেষক ও রাজনীতিক।
তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক সংগঠক ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান; মাতা মরহুমা খানম মোস্তফা। শওকত আলী নূর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৯-৮০ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন এবং অনার্সে ১ম ও এমএতে ২য় স্থান অধিকার করেন।
তিনি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে এনসিসি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ১৩ বছর শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ডিপ্লোমেইড অ্যাসোসিয়েট অব দ্য ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (DAIBB) ডিস্টিংশনসহ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ব্রাদার্স অর্কিড লিমিটেডের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত শওকত আলী নূর ১৯৭৭-৮১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও গণভোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অধ্যাপক ড. ইনাম উল হকের ঘনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।
তিনি ২০১০ সাল থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেন এবং ১/১১ পরবর্তী কঠিন সময়ে দলের পক্ষে সক্রিয় আন্দোলন করেন। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রায় সব কর্মসূচিতে তিনি নেতৃত্ব দেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শুরু করে মানবাধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বৃক্ষরোপণ, বৃত্তি প্রদান, ত্রাণ বিতরণ সহ নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে তিনি নিজেকে একজন নিবেদিত সমাজকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার পিতার নামে “আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা বিদ্যানিকেতন” এবং দাদার নামে “আলহাজ জেয়াবউদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি” তাঁর শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের নিদর্শন।
তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আজীবন সদস্য এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দাতা। তার সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২৩ সালে “বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড” এবং ২০২২ সালে “গুণীজন সম্মাননা” লাভ করেন।
তার স্ত্রী ফাতেমা জাহান একজন শিক্ষাবিদ ও বর্তমানে “দৈনিক কক্সবাজার”-এর প্রকাশক ও সম্পাদক। শওকত আলী নূর দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বড় ছেলে ও ছোট ছেলে দুজনেই চিকিৎসক।