জুলাই আন্দোলন’-এ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওমর বিন নুরুল আবছারের মরদেহ ১০ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আকুবদণ্ডী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
২২ বছর বয়সী ওমর গত বছরের ৫ আগস্টে ঢাকার উত্তরায় ছাত্র-জনতার ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান । তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার পর ২১ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার।
মামলার তদন্ত চলাকালে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পুলিশ মরদেহ উত্তোলনের অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করে। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।
আদেশে আদালত উল্লেখ করেন, দেশের তৎকালীন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে নিহত ওমরের পরিবার মরদেহের কোনো সুরতহাল, ময়নাতদন্ত কিংবা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। ফলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মরদেহ পুনরায় উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলন ও সুরতহাল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।