মহেশখালী সীমান্ত খাল উদ্ধারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপি
মীর বরকত :চট্টগ্রাম, ২৫ জুন
৪৫ বছর ধরে দখলে থাকা মহেশখালীর ঐতিহাসিক দাঁড়াদিয়া খাল (স্থানীয়ভাবে ‘ফারা খাল’ নামে পরিচিত) উদ্ধারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মহেশখালী উন্নয়ন ফোরাম।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসনের মদদে সীমান্তবর্তী খালটি বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে মাছের ঘের ও লবণের মাঠে পরিণত করা হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে খালটি আজ মৃতপ্রায়।
খাল নয়, যেন লুন্ঠনের জলাধার:
সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী (দাগ ২০১, ২০২; বিএস খতিয়ান নং-১) খালটির আয়তন ৪৫.৫৩ একর। কিন্তু গত চার দশকের বেশি সময় ধরে প্রভাবশালীরা এটি দখল করে রেখেছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী নৌপথ, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
স্থানীয় জেলে আবদুল করিম বলেন,
“আগে এই খালে নৌকা চলতো, বদরখালী মাতারবাড়ী নৌ যোগাযোগ ছিল।এখালে মাছ ধরতাম। এখন সব বন্ধ। খাল বাঁচলে আমরাও বাঁচি। খাল দখলে পরিবেশের সর্বনাশ করেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।
পরিবেশবিদ এডভোকেট জামাল হোসেন বলেন,খাল বন্ধ থাকলে শুধু লবণ উৎপাদনই ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। এই খালের দুপাশে ম্যানগ্রো বনায়ন ছিল,এইখালে মংসা প্রজনন ছিল।মহেশখালী ও মাতাবাড়ি প্রায় ৭ হাজার জেল পরিবার এই খালে মৎসাহরণের জীবীকা ছিল।এখাল দুপাশে বাধ দিয়ে উপকূলীয় পরিবেশও বিপর্যস্ত করেছে।
পরিবেশবাদী জানান এ.কে.এম. আবু ইউসুফ বলেন,এটি শুধু একটি খাল নয়, উপকূলের প্রাণরেখা। দখলমুক্ত করা এখন রাষ্ট্রীয় জরুরি দায়িত্ব।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন
গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মী ওচমান জাহাঙ্গীর, পরিবেশবাদী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন,প্রফেসর ছৈয়দ মোখতার উদ্দিন,অ্যাডভোকেট আবু নাসের।এম কে মো. মুবিন প্রমুখ।