চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ ক্যান্টিনের সামনে কয়েকদিন ধরে উলঙ্গ ও নিঃস্ব এক নারী রোগী বিনা চিকিৎসায় পড়ে রয়েছেন।
আজ সকালে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য প্রথম ভিডিও করে তুলে ধরেন হাসপাতালেরই একজন দায়িত্বশীল স্টাফ ।ভিডিওতে দেখা যায়, নারীটি একেবারে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছেন, অসুস্থ, অবসন্ন ও একাকী। তাঁর পাশে নেই কোনো চিকিৎসক, নার্স কিংবা হাসপাতালের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। রাষ্ট্রীয় হাসপাতালের ভেতর এমন চিত্র দেখে প্রশ্ন উঠছে—এই নারীর দায়িত্ব কে নেবে?
স্থানীয়রা জানান, নারীটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। পরনে কোনো কাপড় নেই। কেউ খাবার দিলে খাচ্ছেন, তাও নিয়মিত নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একবারও বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এমন প্রশ্নই এখন উঠছে সচেতন মহলে। যদি কেউ পরিচয়হীন হয়, অন্ধ, বধির বা নিঃস্ব হয়, তাহলে কি তাঁর চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থাকে না? তাহলে রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালগুলোর দায়িত্ব কি শুধু পরিচয়পত্রধারী বা টাকার মালিকদের প্রতি !
এক্ষেত্রে দাবি উঠেছে, দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে একটি ‘নিঃস্ব ওয়ার্ড বা মানবিক কর্নার’ স্থাপন করার। যেখানে মানসিকভাবে অসুস্থ, পরিচয়হীন, আর্থিকভাবে অক্ষম, পথচারী কিংবা অসহায় মানুষদের জন্য চিকিৎসা, খাবার ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।
এই ঘটনার ভিডিও এবং তথ্য সর্ম্পকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক , সিভিল সার্জন অফিস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়
যেন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এই বিষয়গুলো নীতিগতভাবে সমাধান করে
সরকারি মেডিকেলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু যারা একেবারে নিঃস্ব, তাদের চিকিৎসার কোনো কাঠামো নেই। এখন সময় এসেছে—একটি ‘মানবিক নীতি’ প্রতিষ্ঠার,—বলেছেন চট্টগ্রামের মানবাধিকারকর্মী আবুল্লাহ মজুমদার।