চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আজকের দিনটিকে “ঐতিহাসিক” বলে উল্লেখ করে বলেন, “গত বছরের গণহত্যার ন্যায়বিচারের পথে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক রচিত হলো।”
সূচনা বক্তব্য শেষে প্রথম সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন খোকন চন্দ্র বর্মন। তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এবং মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে কোনো প্রতিনিধির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আইনি লড়াই করছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছে। তিনি কাঠগড়ায় হাজির থেকে আদালতের নির্দেশে ঘটনার দায় স্বীকার করে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।
