জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন এন্টি-ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স (আফা) নেতারা। তাঁদের দাবি— আগে বিচার ও কাঠামোগত সংস্কার, তারপর নির্বাচন।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে আয়োজিত নতুন বাংলাদেশ সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জুলাই যোদ্ধারা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাফসান জানি।
অনুষ্ঠানে শহীদদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান ছাড়াও সংবাদকর্মী, সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
ব্যক্তিগত সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন: ওয়াসিম আকরাম, ফারুক, ফয়সাল আহমেদ শান্ত, মো. জামাল, ইশমামুল হক, ইউসুফ, ওমর বিন আবসার, মাহবুবুল হাসান, শহিদুল ইসলাম, মো. আলম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, লায়ন সাজ্জাদ উদ্দিন, নুরুল কবির, মিল্টন চৌধুরী, মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী, ইরফাত ইব্রাহিম, মুনীর চৌধুরী।
সংগঠন সম্মাননা পেয়েছে: ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (SAD), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন মুক্তি কাউন্সিল, পুনাব, পুসাব, জানাপা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আপ বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হলেও তাঁর নিয়োগকৃত পুলিশ বাহিনীকে চিহ্নিত করতে হবে, কারণ তাঁদের কারণেই দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। শেখ হাসিনার দলের লোকেরা দেশে এখনও ঘাপটি মেরে আছে।ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের পতন ঘটেছে এবং শেখ হাসিনা ছিলেন ভারতীয় দালাল। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবার ঐক্য অপরিহার্য বলে তাঁরা মত দেন।
অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন: বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান চৌধুরী,সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন, দুদক পিপি রেজাউল করিম রনি,এপিপি সাইফুল আবেদিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,সমন্বয়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী,মো. আবু রায়হান ,নেজামে ইসলামী পার্টির আনোয়ার হোসেন রাব্বানী ,জুলাই যোদ্ধা মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর।