রির্পোট:চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কার্যক্রমে অকার্যকারিতা দেখা দেওয়ায় সরাসরি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করেছে বলে মনে করছেন সেবা গ্রহীতারা। তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমের নেতৃত্বে সিডিএর কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ায় নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রেষণে একজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে, সিডিএর কাঠামোয় ‘সার্বক্ষণিক সদস্য’ নামে নতুন পদ যুক্ত করা হয়েছে। এতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ জামিলুর রহমানকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ প্রজ্ঞাপন জারি হয় এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হয়।
এর ফলে সিডিএর প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন স্তর যুক্ত হলো। আগে চেয়ারম্যানের পরে প্রধান প্রকৌশলী সর্বোচ্চ পদধারী ছিলেন। তবে নতুন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান প্রকৌশলীর ঊর্ধ্বে অবস্থান করবেন। এতে সিডিএর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন এ পদ সৃষ্টির বৈধতা নিয়ে। তাদের মতে, সিডিএর অনুমোদিত কাঠামোয় ‘অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী’ নামে কোনো পদ নেই। ফলে এটি সরকারি চাকরি বিধি বহির্ভূত উদ্যোগ হতে পারে। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন নতুন পদ আসলে সৃষ্টি হয়নি, বরং একজন কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে এনে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ নতুন পদ সৃষ্টি করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন, যা এত অল্প সময়ে সম্ভব নয়।
তবে সিডিএ সচিব রবীন্দ্র চাকমা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “কোনো বিধি লঙ্ঘন হয়নি। রাজউকেও অনুরূপ পদ রয়েছে।”