কিরাত বাংলার লেখক সম্মিলন অনুষ্ঠিত
“প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে প্রজন্মকে শক্তিশালী জাতি হিসেবে গঠন করতে হবে”
প্রাচীন চট্টগ্রামের আদিনাম সমূহের অতি প্রাচীন নাম কিরাত। আমাদের গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীনতম এই কিরাত রাজ্য বা কিরাত জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাসকে নবপ্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে প্রকাশিত ইতিহাস সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনিয়মিত ও অলাভজনক কাগজ ‘কিরাত বাংলা’র যুগপূর্তি উপলক্ষে ‘কিরাত বাংলা’ লিটল ম্যাগাজিন-এর উদ্যোগে লেখক সম্মিলন ১৪২৯ ৯ জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
লেখক সম্মিল লিটল ম্যাগাজিন ভিত্তিক ক্ষুদে ও বিজ্ঞ লেখকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। লেখক মিলনমেলায় আলোচকগণ বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যের এই প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাস নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারলে আগামী প্রজন্ম সমৃদ্ধ ইতিহাস জেনে উপকৃত হবেন। গৌরবোজ্জ্বল হাজার বছরের প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাস বিশ্বদরবারে নন্দিত, কিন্তু আমাদের সন্তানগণ জানে না। বাংলা সাহিত্যের আদি প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ ও চর্যাপদের আবাসভূমি আমাদের চট্টগ্রাম। চর্যাপদের বিভিন্ন শ্লোকগুলো চট্টগ্রামের ভাষায় রচিত। চর্যাপদ রচয়িতা কবিদের বাড়ীও চট্টগ্রামে বলে ইতিহাসে প্রমাণিত।
বক্তারা চর্যাপদ ও প্রাচীন চট্টগ্রামের প্রত্নসম্পদ ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য লেখক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিকদের লেখনীর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরে কিরাতের ঐতিহ্য নবপ্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিহাসবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। কিরাত বাংলার উপ-সম্পাদক সৌমেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে কিরাত বাংলার সম্পাদক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের পরিচালনায় লেখক সম্মিলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি লায়ন শওকত আলী নুর।
আরো বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক দুলাল কান্তি বড়ুয়া, পরিবেশবাদী সংগঠক, রাজনীতিক এম এ হাশেম রাজু, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক অমর কান্তি দত্ত, সাংবাদিক মো. মনজুরুল ইসলাম, চর্যাপদ বিষয়ক গবেষক কবি বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, প্রাবন্ধিক লায়ন আবু ছালেহ, লেখক ও অধ্যক্ষ মুক্তাদের আজাদ খান, মো. তাওসিফুল আলম, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, কবি আলমগীর হোসাইন, শিক্ষাবিদ ও কবি কুতুব উদ্দিন বখতেয়ার, বাণিজ্যিক রাজধানী সম্পাদক এইচ এম আলমগীর চৌধুরী রানা, প্রবীণ শিক্ষাবিদ সমীরণ বড়ুয়া, রাজনীতিক মাস্টার আবুল হোসেন, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ খান, কবি সৈয়দ সাহাবুদ্দিন মো. আজিজ, গীতিকার সাফাত বিন সানাউল্লাহ, শিক্ষক আবু সুফিয়ান ছানভী, প্রবীণ সংগীত শিক্ষক অচিন্ত্য কুমার দাশ, রতন ঘোষ, কবি জসীম উদ্দিন চৌধুরী, এমরান হোসেন মিটু, অধ্যক্ষ মো. ইউনুচ কুতুবী, প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থপ্রণেতা মোহাম্মদ শাহাজাহান, গবেষক ও কবি নাজমুল হক শামীম, মোখলেছুর রহমান, কবি ইমরানুল ইসলাম, কবি মোহাম্মদ ইছহাক, আসিফা মেহজাবিন, কাঞ্চন বড়ুয়া, সঙ্গীতশিল্পী ও কবি মো. ইব্রাহিম, সাংবাদিক ইমরান সোহেল প্রমুখ।
