- মিনি সাক্ষাৎকার
একজন দক্ষ সংগঠক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গর্বিত চবিয়ান।
-
নেয়াজ আহমদ চৌধুরী, জন্ম- ৬ মে, ১৯৬০খ্রি.। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী। দুই মেয়ে এক ছেলের জনক। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর মিউনিসিপলটির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান নজির আহমদ চৌধুরীর নাতি। তিনি নজির আহমদ চৌধুরীর ১ম পুত্র মো. ইউনুছ চৌধুরীর সন্তান। মো. ইউনুচ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। নেয়াজ আহমদ চৌধুরী একজন সাংগঠনিক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্স-রাজনীতি বিজ্ঞান, ১৪তম ব্যাচ। তিনি স্মৃতি চারণে বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ১ম ভিসি ছিলেন আবদুল করিম। ডিপার্টমেন্টের প্রধান ছিলেন ড. বদিউল আলম, তাদের ক্লাস নিতেন আর. আই চৌধুরী, মাহফুজুল হক চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মকদুল মুলুক মাশরাফী, জেবুন নাহার খান ও বেলা আপা। সহপাঠীদের মধ্যে প্রিয় বন্ধুরা ছিলেন আবদুল বাতেন, কাজী রঞ্জু, জাকির হোসেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাজনীতি বিজ্ঞান সমিতি ৮২ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী পরিষেদ (এলামনাই) এর সদস্য। ২০২২ সালে উক্ত সংগঠনের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন রোটারিয়ান ক্লাবের সক্রিয় সদস্য। স্মৃতি চারণে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টল ট্রেন নাজিরহাট-হাটহাজারী চলাচল করতো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সময় ট্রেন ষ্টেশন ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং সড়কে মাঝে মাঝি রেল ক্রসিং-এ ট্রেন থামতো এবং নির্দিষ্ট সময়ে উঠা নামা করতো। শহর থেকে ক্যাম্পাসে গিয়ে লেখা-পড়া করতো। কিন্তু পরীক্ষার সময় ১ মাস আগে হলে চলে আসতো এবং বন্ধু আবদুল বাতেনের রুমে থেকে পরীক্ষা দিত। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের সাথে সু-সম্পর্ক ছিল। সেই সময় চাকসুর দায়িত্বে ছিলেন মাজহারুল হক শাহ ও জমির পরিষদ পরে জসিম উদ্দিন পরিষদ তারা পেয়েছিলেন। দুই বছর সেশন জটের কারণে ৮২ সালের পরিবর্তে ৮৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ চুকাতে সক্ষম হন। সেই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা খাওয়া ও যোগাযোগ করছ হতো। হলে ডাইনিং হলের পরিবেশ খুব সুন্দর ছিল এবং খাবার মানও ভালো ছিল। সকালে হলের সামনে খিচুড়ি ভাত পাওয়া যেত এবং খাবারগুলো ছিল সু-সাধু। শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রথম জীবনে তিনি পিডিবির কন্ট্রাক্টারির কাজ করতেন ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে ষ্টেশন রোড নজির সালেহ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।