পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া আজাদীকে বলেন, শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। চট্টগ্রাম অঞ্চলে মে মাসে সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। দুদিন ধরে সেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আরও তিন দিন চলতে পারে।
তিনি বলেন, ১২ মে’র পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। তখন গরম থাকলেও এ ধরনের অসহনীয় পরিস্থিতি কিছুটা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি ও এর উপরের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
এদিকে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোদে যাওয়া যাবে না। জরুরি কাজে বাইরে যেতে হলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিতে হবে। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চোখে–মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। হালকা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধানের কথাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রোদের মাঝে বেশি সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমী কাজ ও খেলাধুলা থেকে বিরত থাকতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া, অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা, তাপপ্রবাহ চলাকালীন শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, শ্রমজীবী ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি লক্ষ্য রাখারও পরামর্শ দেন তারা।